৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েও সাবজেক্ট পাচ্ছেন না বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। অথচ ৩০ নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। এমনই কাণ্ড ঘটেছে দেশসেরা অন্যতম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোটায় আসন সংখ্যা পূরণ না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আর এমন সিদ্ধান্তে তোলপাড় চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে।
রাজশাহী বিশ্বিদ্যালয়ে সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করলেও ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৬০ শিক্ষার্থী। এদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তান। তাদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় পাসের ন্যূনতম নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করা হয়। ৬ নভেম্বর রাতে ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ৭০-৭৫ নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পাননি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, এর মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এই বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ফলে ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যেও হীনমন্যতা সৃষ্টি হবে।
তবে এমন সিদ্ধান্তের সাফাই গাইলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম। তিনি জানান, ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি না করলে প্রায় দেড়শ আসন খালি থেকে যাবে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে মোট তিনটি ইউনিটে ৪ হাজার ৬৪৬ আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষা দেন দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। যেখানে ন্যূনতম পাস নম্বর ছিল ৪০।